Mango GopalBhog (গোপালভোগ)
600.00৳
পরিমানঃ ৫ কেজি
আকারঃ ৬-৭ পিস/কেজি
উৎপাদন স্থানঃ সাতক্ষীরা
বিষমুক্ত নিরাপদ আম
বাংলাদেশে উৎপন্ন অতি উৎকৃষ্ট জাতের আমের মধ্যে অন্যতম গোপালভোগ আম। এটি সবার আগে পরিপক্ব হয়। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিপক্বতা লাভ করতে শুরু করে এই আম। মে মাসের ২০ তারিখের পর থেকে বাজারে বেশি পরিমাণে আসতে থাকে এবং জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এ আম আর পাওয়া যায় না। আমটি পাকার পর খুব বেশি দিন বাজারে থাকে না। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে গোপালভোগ বাজারে এসে দেখতে দেখতেই শেষ হয়ে যায়। উৎকৃষ্ট ও পরিপক্ব গোপালভোগ আম কেনার উপযুক্ত সময় মে মাসের ২৫ তারিখ থেকে জুন মাসের ১০ তারিখের মধ্যে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও দিনাজপুর জেলায় গোপালভোগ আম সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এ ছাড়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা জেলাতেও এ আমের চাষ হয়ে থাকে।
গোপালভোগ আমের জাতটি কবে, কোথায় এবং কাদের দ্বারা উদ্ভাবিত হয়েছে কিংবা নির্বাচিত হয়েছে, এ তথ্য এখনো অজানা। তবে ধারণা করা যেতে পারে, মুর্শিদাবাদে নবাবদের বিখ্যাত আমবাগান থেকেই হয়তো এই জাতের উদ্ভব ঘটেছে। আমটি মাঝারি আকৃতির এবং সামান্য লম্বা। অবতল বা সাইনাস অনেকটাই বাঁকানো। শীর্ষদেশ অন্যান্য জাতের আমের তুলনায় অনেক সরু ও গোলাকার। একনজর দেখলেই অন্যান্য জাতের সঙ্গে সহজেই গোপালভোগ আমের পার্থক্য করা যায়। পোক্ত হলে পৃষ্ঠদেশ ও সম্মুখে কাঁধের অংশের খোসায় সাদা সাদা ক্ষুদ্র ফোঁটা পরিলক্ষিত হয়। গোপালভোগ অনেকটা কালচে সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। পাকলে ত্বক হালকা থেকে কিঞ্চিৎ হলুদাভ বর্ণ ধারণ করে। গোপালভোগ আম সাধারণত গড়ে লম্বায় ৮.৬ সেন্টিমিটার এবং ৬.৪ সেন্টিমিটার প্রশস্ত হয়ে থাকে। এই আমের ওজন ২৩০ গ্রাম থেকে ২৬০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। সম্মুখের কাঁধ সামান্য স্ফীত। খোসা সামান্য মোটা। শাঁস আঁশবিহীন ও রসাল। শাঁসের রং গাঢ় কমলা। ফলটির খাদ্যাংশ ৬০ শতাংশ। মিষ্টতার পরিমাণ ২১/২৩ শতাংশ। গোপালভোগ আমের বোঁটা শক্ত।
গোপালভোগ আমের গাছে ফল আসে প্রচুর পরিমাণে। তবে এই আমের সংরক্ষণশীলতা অন্যান্য আমের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক কম। পাকা অবস্থায় সংগ্রহ করে ৩-৪ দিনের বেশি ঘরে রাখা যায় না।
Additional information
Weight | 5 kg |
---|
Reviews(0)
There are no reviews yet.