রাজশাহী, চাপাই, নাটোর বা এই পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের যে কোন গ্রামের পথ পাওয়া মাত্রই একটু পাশে তাকালেই প্রায়ই নিসংগ একটা গাছ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবেন, চিড়ল পাতা, বেশী লম্বা না, আবার ঝাকড়া ও না, এই সজনে গাছ কে প্রথম আমাদের কাছে নিবিড় করে পরিচয় করিয়েছিলেন বুঝি জসিমউদ্দিন।
আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশ যেমন প্রানী বা উদ্ভিদ বৈচিত্র ভরা, তা পৃথিবীর অন্যান্য এলাকায় কমই দেখা যায়। সজনে অনেকটা আমাদের নেটিভ প্লান্ট। এছাড়া পলিনেশিয়ান এলাকা বা সাউথ ইস্ট এশিয়া জুড়ে এর দেখা পাওয়া যায়, উত্তর আমেরিকাতেও কিছু ভ্যারাইটি আছে।
ত’ সজনে যে মরিঙ্গা এইটা আমি জানি মাত্র ৬-৭ বছর হল, তখন অক্সফামের এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট টিমের সাথে কাজ করছিলাম, দেশী গ্রামীন এন্টারপ্রাইজ নিয়ে কি করা যেতে পারে তা নিয়ে, ইন্টারন্যাশনাল কেইস স্টাডি দেখতে দেখতে জানতে পেলাম ইন্দোনেশিয়ান এক ফার্ম এর কথা, যারা শুধু মরিঙ্গা নিয়ে কাজ করে এবং বেশ ভাল করছিল।
সেখান থেকে কিছু পড়াশুনা করলাম, বুঝলাম আমরা যে ড্রামস্টীক খাই ডালের মাঝে, এই গাছের পাতা এক আজিব জিনিস। পাতা, ফল মুল এইটা আসলে আজীব একটা গাছ/
মানুষের রেগুলার প্রয়োজন প্রায় ৯০ ধরনের নিউট্রিয়েন্ট, এর প্রায় সব গুলাই সজনের মদ্ধ্যে আছে। সমপরিমান সজনে পাতাতে আছে- অরেঞ্জ, কলা, দই, পালং শাক বা গাজরের নিউট্রিয়েন্ট এর চেয়ে বেশী নিউট্রিয়েন্ট।
অনেক ধরনের সুবিধার মাঝে শুরু করা যায় আর্থারাইটিস এবং ডায়াবেটিক দিয়ে, এরপর পেটের পীড়া, হজম, সতেজ রাখা, অবসাদ দূর করা, মাত্ত্র সহায়তা করা, থেকে শুরু করে, এজমা, ইমুইন বুস্টিং, এনার্জি বুস্টিং হেন কাজ নাই এইটা করে।
যেহেতু পুরাটা গাছের পাতার এক্সট্রাক্ট তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, গাছ থেকে ছিড়ে আপনি কাচাও খেতে পারেন, তবে তাতে কিছুটা ঘাসের মত লাগতেই পারে- কি বলেন?
সবজি এর ভিতর, তরকারীতে বা ভর্তা করেও খেতে পারেন। ড্রাই বা পাউডার ফর্মে নিয়ে আসা হয় যেন ওয়াটার কন্টেন্ট কমিয়ে কন্সেন্ট্রেশন বাড়ানোর জন্য, যেটা রেগুলার ইন্টেক উপযোগী করা হয়।
Comments (0)
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.