
ইউরিক অ্যাসিড এর যম। দন্ডকলশ,আমাদের ছোট বেলার মধুফুল। শাক খান ১৫ দিন। পা ব্যথা ভ্য।নিশ।
এই উদ্ভিদটি কখনো এককভাবে রোপন করে না। আপন জালা হয়ে অন্য ফসলের সাথে জন্মায় বলে একে সাথী শাক বলা হয়। সবার সাথে মিলে মিশে প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করে। এই উদ্ভিদটি রক্ষা করা এখন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কোন কোন এলাকায় দন্ডকলস প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন দন্ডকলস তেমন চোখে পড়ে না। কারণ নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। যে সব ফসলের সাথে সাথী হয়ে জন্মায় সেই সব ফসল কৃষক এখন আর তেমন চাষ করে না। এখন অন্য ধরনের এক কাট্টা ফসলের চাষ করে। এই গুল্মটির যে কি গুণ তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। প্রাণবৈচিত্র্য হারালে এই গুল্মজাতীয় উদ্ভিদটির গুণ ও হারিয়ে যাবে। তাই সাথী ফসল করে এদের প্রাণবৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখা খুবই প্রয়োজন। দন্ডকলস কখনো শাক হয়ে, কখনো জুস হয়ে, কখনো ভর্তা হয়ে আমাদের কাছে আসে। এর গুনাগুণ না জেনেই ছোট বেলায় আমরা এর ফুল তুলে চুষে চুষে মধু খেতাম। পাতা তিতা হলেও এই ফুলের মধু কিন্তু মিষ্টি।
ঔষুধ হিসেবে এর মূল, পাতা, ফুল ব্যবহার করা হয়। অতএব দন্ডকলসের প্রাণবৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখা খুব জরুরী।
ঔষুধিগুণ: কারও সর্দি, জ্বর ও শরীর ব্যথা করলে এই পাতা সিদ্ধ করে কালিজিরা, রসুন হালকা ভেজে অল্প মরিচসহ বেটে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। বাচ্চা বা বড়দের কান ব্যথা হলে, বা কান দিয়ে পানি বের হলে তখন ৫ টি পাতা তুলে পরিষ্কার করে ধুয়ে হাতের তালুতে কচলিয়ে রস করে ২ ফোঁটা রস কানের ভিতর দিলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
শরীর ব্যথা, হাত পা চাবালে ও কামড়ালে দন্ডকলস পাতা, নিশিন্দা পাতা, নিম পাতা,ও হলুদ একত্রে বেটে বড়ি তৈরি করে ভাল করে রোদে শুকিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল ১ টি করে বড়ি খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
কাশি হলে, দন্ডকলসের পাতা ও শিকড় আদাসহ রস করে একটু গরম করে খেলে কাশি কমে যাবে।
অনেকের বাতের ব্যথায় হাত, পা ফুলে যায় সেই সময় এই পাতার রস করে এক চিমটি লবণ দিয়ে মালিশ করলে ব্যথা কমে যাবে।
বাচ্চাদের সব সময় সর্দি লেগে থাকে, সেই সময় এই পাতা বেটে রস করে মায়ের দুধের সাথে মিশিয়ে মাথার তালুতে দিয়ে রাখলে সর্দি কমে যাবে।
এছাড়া ফুল তুলে সেই ফুল মায়ের বুকের দুধের সাথে কচলিয়ে সেই দুধ খাওয়ালে সর্দি ভাল হয়ে যায়।
বাচ্চাদর পেটে কৃমি হলে দন্ডকলসের পাতা রস করে ১ চামচ করে ৪-৫ দিন খাওয়ালে কৃমি মরে যায়।
বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে বা পায়খানার সাথে একটু একটু বিজল (আম) বের হলে সেই সময় পাতার রস করে খাটি মধু মিশিয়ে তিন দিন খেলে ভাল উপকার পাওয়া য়ায়।
চুলকানি হলে এই পাতার রস কাঁচাহলুদের রসের সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে শরীরে মাখিয়ে কিছুক্ষন রোদে থেকে স্নান করলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। এই ভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত লাগাতে হবে।
Comments (0)
Leave a reply
You must be logged in to post a comment.